কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে বিআরটিএ’র সার্ভার বন্ধ থাকায় কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। সহসাই মিলছে না বিআরটিএ’র সেবা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেল অফিসের সামনে দেখা যায়, গ্রাহকদের ভিড়।
মোটরজানের রেজিস্ট্রেশন সেবা, ফিটনেস সেবা, লাইসেন্স বায়োমেট্রিক, ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত সেবা, মালিকানা বদলি, ইঞ্জিন পরিবর্তনসহ ট্যাক্স টোকেন নেওয়ার জন্য গ্রাহকেরা এসে ফিরে যান। অফিসের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের কারণে সংরক্ষিত সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের সেবা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
কর্তব্যরত প্রহরীরা অবস্থান করছে গেটে। গ্রাহকদের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি নেই।
মোহাম্মাদ হান্নান মোহাম্মাদপুর থেকে এসেছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে। তিনি বলেন, আমি অনেক দিন থেকে ঘুরছি একের পর এক ডেট ফেলায় এখন আমি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারছিনা। সার্ভার যদি বন্ধ থাকে আমাদের ম্যানুয়ালি কোনো ব্যবস্থা করুক।
লালমনিরহাট থেকে এসেছেন মুকুল মন্ডল। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ডেলিভারি ডেট ছিল ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩। সেখান থেকে সময় বর্ধিত করে ১০ জুন নতুন সময় দিলেও তিনি লাইসেন্স হাতে পাননি।
তিনি বলেন, কয়েক দিন থেকে আসা যাওয়া করছি। কবে ঠিক হবে সে বিষয়েও কিছু জানাচ্ছে না। শুধু ব্যানার টানিয়ে রেখেছে।
মিরপুর থেকে আসা আব্দুল গফুর জানান, গাড়ির কাগজ রি-নিউ করতে হবে কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আবার লাইসেন্সের তারিখে গড়মিল হলে ট্রাফিক পুলিশ ধরবে। নিয়মিত বাইরে যাতায়াত এখন বিআরটিএ’র কার্যক্রম শুরু না হলে ঠিক করাতে পারছিনা। বারবার এসে ফিরে যাচ্ছি।
অন্যদিকে দেখা যায়, বিআরটিএ সেন্টারের ভেতরে তাঁবু টাঙিয়ে কাজ করছে কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সেন্টারে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। এতে করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি।