শালিস বৈঠককে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রামগতির রামদয়াল বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় নুরনবী মাস্টার নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো ৫ জন। নিহত নুরনবী মাস্টারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রামদয়াল বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুইজনকে পুকিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত চারদিন আগে দুপুরে রামগতি উপজেলার চরমেহের এলাকার নুরনবী মাস্টারের নাতি মঞ্জুর হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে রিকশা যোগে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে শাহদাত হোসেন তাদের ইভটিজিং ও কুটক্তি করে। ওইদিন রাতে শাহাদাত হোসেনকে মারধর করে মঞ্জুর হোসেনসহ অন্যরা। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে রামদয়াল বাজারে আবদুল মতিন মাস্টারের ঘরে এক শালিস বৈঠক শুরু হয়। শালিশ বৈঠকের সময় কথাকাটাবাটির এক পর্যায়ে শাহদাত হোসেন ও মামুনের নেতৃত্বে কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে নুরনবী মাস্টার ঘটনাস্থলে মারা যায়। এসময় আহত হয় আরও ৫ জন।
আহতদের উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে করা হয়েছে। নিহত নুরনরী মাস্টারের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এঘটনায় পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়। নিহত নুরনবী মাস্টার উপজেলার চরমেহের এলাকার মৃত মাহফুজুল হকের ছেলে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে ও অন্য আসামিদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে।