বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার পর দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশে ফের বন্ধ করা হয়েছে ফেসবুক। এবার শুধু মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। তবে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু, টেলিগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম চালু রয়েছে।
শুক্রবার (০২ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে ফেসবুক চালাতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে সচল রয়েছে ফেসবুক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে তা চালু হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়।
গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়েছে। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই ফেসবুকসহ বন্ধ থাকা সকল সামাজিক মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু করা হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।