কোটা সংস্কার আন্দোলনে ৪ জন সাংবাদিক হত্যা দুই শতাধিক সাংবাদিক আহত এবং সারাদেশে গণহত্যা, সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নেতারা।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।
তিনি বলেন, গণঅভুত্থানের মাধ্যমে অনেক কিছু পতন হয়েছে সেই গণঅভুত্থানের মধ্য দিয়েই এই সরকারের পতন হবে। সরকার বাংলার মাটি রক্তে রঞ্জিত করেছে ছাত্র, শ্রমিক, শিশুদের ছাড় দেয়নি। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো সুযোগ নেই। আমরা ছাত্রদের আন্দোলনের সঙ্গে আছি।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ। তিনি বলেন, এই সরকারের কাছে বাংলাদেশের মানুষের কোনো দাবি নেই। গত কয়েক সপ্তাহে সরকার যে গণহত্যা করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম কালো অধ্যায় নেই। তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছেন। মানুষ রাজপথে নেমে গেছে। গুলি করে আন্দোলন থামাতে পারবেন না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্ররা থামবে না।
সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ দেশের শত শত মানুষ নিরীহ মানুষদের হত্যাকারীর কাছে আমরা বিচার চাই না, আমরা শুধু চাই এ সরকারের পতন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ তিনি বলেন, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সাংবাদিকরা রাজপথ ছাড়বো না। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্রদের, সাধারণ মানুষদের, বাচ্চাদের, সাংবাদিকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করছে সরকার। ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানকে যে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে আমরা অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করছি।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কাদের গনি চৌধুরী, আবুল কালাম মানিক, খন্দকার তালুকদার, মোস্তফা কামাল মজুমদারসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতারা। সমাবেশ শেষে তারা পল্টন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান।