প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়িতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত।
শনিবার (৩ আগস্ট) বন্যার পানি নামার পর খাগড়াছড়ি সদরের গঞ্জপাড়া, শান্তিনগর, কালাডেবাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নামার পর ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন।
ভেঙে গেছে বহু বসতবাড়ি, নষ্ট হয়েছে গ্রামীণ সড়ক। তলিয়ে গেছে মৎস্য কৃষি খামার। শুক্রবার (২ আগস্ট) থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় মাইনী নদীর পানি না বাড়লেও পানিবন্দি এখনও বিশটি গ্রামের মানুষ। দীঘিনালায় সাজেক সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকায় আটকা পড়েছেন তিন শতাধিক পর্যটক। বন্ধ রয়েছে দীঘিনালার সঙ্গে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদুর যান চলাচল।
এদিকে, খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদরের গঞ্জপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয় । এ সময় জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪’শ মেট্টিক টন চাল ও সাড়ে ৮ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।