বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা দাবির প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে রোববার (৪ আগস্ট) নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কারফিউ চলাকালীন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। বসিয়েছে ব্যারিকেড। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সেনাসদস্যদের। সন্দেহজনক মনে হলে করা হচ্ছে তল্লাশিও।
সরেজমিনে (সোমবার) সকাল ৯ টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়। এসময় সেনাবাহিনীর সাথে সাথে পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও কোস্টগার্ডকেও দায়িত্বপালন করতে দেখা যায়।
এদিন সকাল ৯টায় মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে বের হয়ে মহাখালী আসতে চাইলে বেশ কয়েক জায়গায় সেনাবাহিনীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এছাড়া রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি নিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে টহল দিতে দেখা যায়।
এসময় দেখা যায়, আগারগাঁও সেনাবাহিনীর একটি দল সতর্ক অবস্থানে আছে। সেখানে আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট যাওয়ার রাস্তা কাঁটাতারে আটকে রাখতে দেখা যায়। তবে পুরাতন এয়ারপোর্টের পাশ ঘেষে মহাখালীগামী রাস্তায় যাতায়াত করা যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
তবে সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি অবস্থায় লক্ষ্য করা যায়, মহাখালী রেলগেইট ও এর আশেপাশের এলাকায়। মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট ডিওএইচএস এলাকায় ঢুকার মুখেই সব গাড়ি ঘুরিয়ে দিচ্ছে সেনা সদস্যরা। গাড়ি থেকে নেমে রেলগেইট পার হতেও দ্বিতীয়বারের মতো প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সেনা সদস্যদের।
মিরপুর থেকে আগারগাঁও, বিজয় স্মরণী, মহাখালী পর্যন্ত পুরো রাস্তা জুড়েই মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। জরুরি কাজ ব্যতিরেকে কাউকে বের হতে দেখা যায়নি। দোকানপাট সব ছিল বন্ধ। আন্দোলনকারীদেরও কোনো অবস্থান দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার কারফিউ দিলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখান করে ঢাকার পথে লং মার্চের ডাক দেয় তারা।