বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে কারফিউ জারি হওয়ায় রামপুরা বাড্ডা প্রধান সড়কে সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে। রামপুরা ব্রিজের বাড্ডা অভিমুখে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বানকার বানিয়ে অবস্থান নিয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে ১০টা ২০ পর্যন্ত বনশ্রী, রামপুরা, মালিবাগ, বাড্ডা ও প্রগতিসরণি ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
বনশ্রী মেরাদিয়া বাজার থেকে রামপুরা ব্রিজের চিত্র:
মেরাদিয়া বাজারের প্রধান সড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নেই। অনেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য বাজারে এসেছেন। এছাড়া বনশ্রীর প্রতিটি অ্যাভিনিউ রোডের মুখে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। তারা জরুরি কাজ ছাড়া কাউকে প্রধান সড়কে আসতে দিচ্ছে না।
রামপুরা ব্রিজের চিত্র:
বনশ্রীর প্রবেশ মুখ রামপুরা ব্রিজের মুখে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এপিসি কার নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। এসময় দেখা যায় সেনা সদস্যরা মাইকিং করছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে প্রধান সড়কে না আসার অনুরোধ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বের হয়েছেন তাদের আটকে দিচ্ছে।
এছাড়া রামপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) প্রতিটি প্রবেশ মুখে সেনা সদস্যদের অবস্থান দেখা গিয়েছে। সেই সাথে রামপুরা ব্রিজে বালির বস্তা দিয়ে বানকার বানিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়। যারা জরুরি কাজে বের হয়েছে কয়েকটি ধাপে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তাদের সড়ক পার হতে দেখা যায়।
রামপুরা বাজারে চিত্র:
রামপুরা কাঁচাবাজারে অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনার জন্য ভিড় করেছেন। তবে বাজারে যাতে কেউ অযথা ঘোরাঘুরি না করে সেজন্য মাইকিং চলে যেতে বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাড্ডা ও প্রগতি সড়কের চিত্র:
বাড্ডা ও প্রগতি স্মরণী এলাকায় কিছুক্ষণ পর পর সেনাবাহিনী গাড়ি টহল দিচ্ছে। সড়কে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নেই। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বের হচ্ছে তারা সেনাবাহিনীর ও পুলিশের জেরার মুখে পার হচ্ছে।
অন্যদিকে, পোস্তগোলা থেকে বার্তা২৪.কমের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মবিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকার পোস্তগোলা জুরাইনের পরিস্থিতি শান্ত। সোমবার সকাল থেকে আন্দোলনকারী কিংবা আওয়ামী লীগের কাউকে দেখা যায়নি। রাস্তায় যানবাহন নেই। শুধুমাত্র রিকশা চলে দেখা গেছে। পুলিশ সবাইকে মেইন রাস্তায় না আসতে অনুরোধ করছে।