শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই কক্সবাজারে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা। উল্লাসের এক পর্যায়ে কিছু উৎসুক জনতা কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় এবং পাশের পুলিশ ব্যারাক।
সোমবার (০৫ আগস্ট) বিকেলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার পর পরই আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিছু উৎসুক জনতা মিছিল করে এসে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় প্রবেশের চেষ্টা করে। পাশের ট্রাফিক পুলিশ অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে থানায় বিপুল সংখ্যক লোকজন ঢুকে যায়। লুটপাট করা হয় সকল মালামাল। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশ ব্যারাক।
এর আগে শহরের লালদিঘির পাড়ের আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এবং কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের শহরের বাসায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া বেশকিছু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা ছাড়াও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবার পরিকল্পনা, সার্কিট হাউজসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা ও কয়েকটি হোটেলে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।