আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে রোববার (৪ আগস্ট) ফেনীর মহিপালে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম নামে ছাগলনাইয়া আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজে অনার্স পড়ুয়া আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার বাড়ি সোনাগাজীর মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামে।
নিহতের ভাই মাহফুজুল হাসান জানান, মহিপালে আন্দোলনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৪ দিন পর মাসুম মারা গেছে। গত ৪ আগস্ট মহিপালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া একটি গুলি মাহাবুবুল হাসানের মাথায় লাগে। সহপাঠীরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তিন দিন আইসিউতে মৃত্যুর লড়াই করে হেরে যায় মাসুম।
বুধবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামে প্রথম জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে সোনাগাজী সাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় ও সবশেষ চরচান্দিয়ায় সোবহানীয়া জামে মসজিদে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগে ফেনীর মহিপালে আওয়ামী লীগের গুলি ও হামলায় ৯ জন নিহতের তথ্য মিলেছে। তবে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি। সামাজিক যোগাযোগসহ শহরের মানুষের মুখে মুখে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে, প্রশ্ন রয়েছে নিহতের সংখ্যা নিয়ে। কেউ বলছেন ১১ জন কেউ বলছেন ১৭ জন। তবে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৮ জনের প্রাণহানির তথ্য দেয়া হয়েছিল। মাসুমসহ সে সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে। সঠিক তথ্য বের করে তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।