নানাবিধ পরিবেশ দূষণের কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে: নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেছেন, আশির দশক থেকে ঢাকায় অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। নানাবিধ পরিবেশ দূষণের কারণে এই তাপমাত্রা বেড়েছে। বর্তমানে এখানে তাপমাত্রা বেড়ে হিটলারের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে 'বাপার ২৫ বছর: পরিবেশ আন্দোলনের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ' বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন সম্পর্কে অবহিতকরণ, সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১৭-১৮ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী সম্মেলন আয়োজিত হবে বলে জানান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, বাপা-বেনের উদ্যোগে আগামী শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন বন, পরিবেশ, ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ২৫ বছরে যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সহযোগিতায় এসেছে, তারা বন্ধু। আর এক শ্রেণির মানুষ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। বিশেষ করে ধ্বংসে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে বিগত সরকারগুলো। তাই বলা যায়- পরিবেশবান্ধব নীতিতে সরকারের প্রতিবন্ধকতাই সবচেয়ে বেশি দায়ী। কোন সরকারের কাছ থেকেই আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
বেনের গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশ নিয়ে প্রথমে প্রবাস থেকে কাজ শুরু করে বেন। এর কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, সরকারের ভেতর সরকার হচ্ছে আমলাতন্ত্র। স্থানীয় লোকজন কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সরকারের আইন তৈরি ও প্রতিবন্ধকতায় আমলারাই বড় বাধা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, মিহির কান্তি দাস প্রমুখ।