কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলডন্ডি ইউনিয়নে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪৮ মামলার আসামি জিয়াবুলের বসতবাড়ি ও তার আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। কক্সবাজার সদরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
যৌথবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, চৌফলদন্ডী অস্ত্র মজুদের খবর পায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী।
১০ পদাতিক ডিভিশনের ২ পদাতিক ব্রিগেডের ৯ ইষ্ট বেংগল কর্তৃক পরিচালিত সেনাবাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও বিজিবি এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলডন্ডি ইউনিয়নে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পৌঁছালে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উক্ত এলাকা তল্লাশি করে ৩টি এল জি, ১টি এক নলা বন্দুক, ৭টি কার্তুজ, ১ টি দা, ১ হাতুড়ী, ৩ টি চাকু, ২ টি চাপাতি, ফাকা দলিল দস্তাবেজ, গাঁজা জব্দ করা হয়।
মূলত উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা উক্ত এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, চৌফলদন্ডীর ত্রাস হিসেবে পরিচিত জিয়াবুল বাহিনীর প্রধান জিয়াউল হকের আস্তানা থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। প্রায় ৪৮টি মামলার আসামি জিয়াবুল এলাকার মৎস্য ঘের দখল, হত্যা, মাদক, ডাকাতি ও অস্ত্রসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তার দাপটে দিশেহারা ছিল এলাকার সাধারন মানুষ।