টাকার বিনিময়ে ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করে ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পদধারীদের কমিটিতে পদ দিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সদ্য ঘোষিত সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিরুদ্ধে। তাই এই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে টানা চারদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচী পালন করে আসছেন পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতৃবৃন্দ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের পদবঞ্চিত নেতাকার্মীরা। পরে দুপুর ২ টার দিকে সিনিয়র কিছু নেতাদের আশ্বাসে আমরণ অনশন ভঙ্গ করেন পদবঞ্চিতরা।
নেতা-কর্মীদের অভিযোগ-নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা ও অনুপ্রবেশকারী বিদেশে অবস্থানকারী টাকার বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দিয়ে কমিটি গঠন করে ত্যাগী নেতা কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এতে করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তৃতীয় শক্তি দলের ভিতরে সুযোগ নিচ্ছে। এই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা। তা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতাকর্মীরা।
এসময় পদবঞ্চিতরা জানান, সিনিয়র নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন করে কমিটি করা হবে। আমরা শুধু আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছি। এই কমিটি বাতিলে আমাদের অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে। আগামীকাল আমরা সংবাদ সম্মেলন করবো। এর পরের দিন আমরা সিলেটের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করবো। যদি কমিটি বাতিল না করা হয় তাহলে সিনিয়র নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন তারাও আমাদের সাথে থাকবেন।
অনশনকারী নেতাকর্মীদের পানি পান করিয়ে অংশ ভাঙ্গান সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদেলর সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য ওসমান গণি, লিটন আহমদ, অলি চৌধুরী, জিএম বাপ্পি, আলী আহমদ আলম, আমিনুল ইসলাম আমিন।
উল্লেখ্য ১৮ সেপ্টেম্বর এ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিনকে সভাপতি ও মকসুদ আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবদল সিলেট জেলা শাখার ২৯১ সদস্য এবং শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেককে সভাপতি ও মির্জা মোহাম্মদ সম্রাট হোসেন সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর শাখায় ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।