রাজধানীর মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকা। এলাকাটিতে কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। বেশ কয়েকটি সরকারি স্থাপনার পাশাপাশি আছে স্কুল ও খেলার মাঠ। তবে রূপনগর, দুয়ারীপাড়া ও তৎসংলগ্ন এলাকার ঝিলের ময়লা পানিতে উৎপন্ন মশার উপদ্রব বেড়ে আতঙ্ক বাড়িয়েছে ডেঙ্গুর। সাথে পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নগর সুরক্ষার আওতায় মশা নিধন স্প্রে তো দূর নিয়মিত পরিস্কারও করা হয় না ঝিলটি। এতে ময়লার ভাগাড় হয়ে পড়েছে রূপনগরের এ ঝিল। এছাড়া এলাকাবাসীর অসচেতনতার কারণে দূষিত হচ্ছে খাল ও সড়কের আশপাশ। তবু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিটি করপোরেশন ।
সরেজমিনে মিরপুর-২ রূপনগর আবাসিকের শিয়ালবাড়ি ৮/৯ নম্বর রোডে দেখা যায় সেখানকার ঝিলে বইছে কালো রঙের দুর্গন্ধযুক্ত পানি। ঝিলের পাশজুড়ে গাছের ঝোপ সেখানে আটকে আছে ময়লা। সাথে পানিতে ভাসছে মশার লার্ভা। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ঝিলের দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে মশার বিস্তার হচ্ছে, এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে এলাকাবাসীর। সিটি করপোরেশনের অবহেলা, সাথে এলাকাবাসীর যত্রতত্র ময়লা ফেলাসহ অসচেতনতার কথাও বলছেন তারা।
ঝিলপাড়ের পাশের দোকানের দোকানি ও ওই এলাকার বাসিন্দা হাসমত আলী বলেন, এই ঝিলের পানিতে মশা নিধন স্প্রে করতে সিটি করপোরেশন থেকে সপ্তাহে একদিনও আসে না। আগের সরকারের সময় কাজ কিছুটা করলেও এখন সিটি করপোরেশনের গুরুত্ব কম। সন্ধ্যার পর দোকানে সাথে পাশের বাসাগুলোতেও মশার উৎপাতে থাকা যায় না। এখন ডেঙ্গুর সিজন চলছে, মশার বংশ বিস্তার বাড়ছে। এ কারণে ডেঙ্গু হতে পারে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
স্কুলছাত্র আহনাফ বলেন, এটা ডেঙ্গু তৈরির কারখানা। মশা, সাথে দুর্গন্ধ ঠিকমতো পড়তে পারি না। এই খাল দিয়ে দুর্গন্ধ হয়। একটু বৃষ্টি হলেই গন্ধ সাথে মশার বিস্তারও বাড়ে। সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন, যতদ্রুত সম্ভব খালটি পরিষ্কার করে দুর্গন্ধ-মশা দূর করার ব্যবস্থা করুন।
রূপনগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী আতিফা জানান, আমি প্রতিদিন এই ঝিলের পাশ দিয়ে স্কুলে আসাযাওয়া করি। এখানে পানিতে অনেক দুর্গন্ধ, সাথে মশা মাছি। যার কারণে সন্ধ্যায় পড়াশোনা করতে অসুবিধা হয়। সাথে আমার বাসার মানুষেরও অসুবিধা হয়। এখন ডেঙ্গুর সিজন চলছে, মশার বংশ বিস্তার বাড়ছে। এ কারণে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া রোগ হতে পারে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তার সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের কারো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ২ হাজার ৬৪৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই ৪৮৫ জন।