প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল বিরুদ্ধে আবারও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১১ সাল থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকার পাশাপাশি এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ, গুলশান-২ এ হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নির্মাণের অভিযোগে রয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) এক সময়ের এই সদস্য গত এক যুগে এমন অসংখ্য কোম্পানির মালিক হয়েছেন এবং ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে থেকে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ১৩-১৪ বছরে তিনি শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দেশে-বিদেশে অর্জন করেছেন।
প্রাথমিক গোয়েন্দা অনুসন্ধানে ইকবালের জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে প্রমাণ পাওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
এর আগে, ২০০৭ সালে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এইচ বি এম ইকবাল, তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ও তাদের তিন সন্তানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
ওই মামলায় আদালত ২০০৮ সালের ১১ মার্চ ইকবালকে পৃথক দুটি ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া তার স্ত্রী ও সন্তানদের তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। এইচ বি এম ইকবাল সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ছিলেন।