কমছে তিস্তার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী | 2024-09-30 12:37:33

উজানের ঢল আর টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এসব গ্রামের ঘর বাড়িতে প্রবেশ করে পানি। তবে গতকাল থেকে পানি নেমে যাওয়ায় বেড়েছে বন্যা পরবর্তী দুর্ভোগ। এদিকে ধীরগতিতে পানি কমায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না খুব একটা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখা যায়, তিস্তার পানি নেমে যাওয়ায় বাড়ির উঠানে ও ঘরের ভিতরে কাঁদা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলসহ রান্নার সমস্যা দেখা দিয়েছে। সুপেয় পানির সংকট ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন তিস্তার চর অঞ্চলের বাসিন্দারা। কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে যাওয়ায় হাটু পানি পেরিয়ে পার হতে হচ্ছে। তিস্তার পানি ঘর বাড়িতে ওঠায় শিশুদের পানিবাহিত রোগের আশংকা করছেন অভিভাবকরা।


ডিমলার পূর্ব ছানতাই এলাকার বাসিন্দা পারভেজ আলী বলেন, গত তিনদিনের বৃষ্টির কারনে আমাদের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছিলো। গতকাল সকাল থেকে পানি নেমে যাওয়া শুরু করে আজ সম্পূর্ণ পানি নেমে গেছে। কিন্তু পানি নেমে যাওয়ার পরে দুর্ভোগ অনেকটা বেড়েছে সবজায়গায় কাঁদা হয়ে আছে। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের আশংকা রয়েছে।

আরেক বাসিন্দা সানজিদ বেগম বলেন, তিস্তায় প্রতিবছর পানি উঠে আর পানি উঠে আমাদের ঘর বাড়ি তলিয়ে যায়। অনেক সময়ে আমাদের ঘড় বাড়িতে পানিতে ভেসে যায়। এবার তিস্তায় পানি উঠেছিলো আমাদের বাড়ির আঙিনায় পানি উঠেছিলো, পানি নেমে যাওয়ার পরে এখনো চুলা জ্বলছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, উজানের ঢল আর গত তিনদিনের বৃষ্টিতে ডিমলার চর অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের ঘর বাড়িতে উঠেছিলো। আজ সকালে অনেক ঘর বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে তিস্তার পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আপাতত বন্যার কোন আশঙ্কা নেই।

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিস্তা নদীর পানি চর অঞ্চলের গ্রামগুলোতে প্লাবিত হওয়ায় শিশুরা পানিবাহিত রোগের সম্ভবনা আছে। পানি আর একটু স্বাভাবিক হলে আমাদের স্বাস্থ্য সেবিকারা বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে শিশুদের খোঁজ খবর নিবেন ও চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেটি করবেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর