সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। দাবি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন সংস্কার সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব, ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের অবস্থান ছেড়ে দেন। তবে আন্দোলন এখানেই শেষ নয় বলে জানান ৩৫ প্রত্যাশীরা।
সমন্বয়ক রাসেল বলেন, এখনই আমাদের আন্দোলন স্থগিত নয়। এখান থেকে আমরা সরে এখন শাহবাগে যাবো, সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেব পরবর্তী আন্দোলন কী হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সমন্বয়ক রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘ জার্নি করে এসেছেন। এজন্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে আমাদের। আলোচনার সময় চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিটির প্রধান সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে আমাদের কথা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে আমাদের টিম আলোচনা করবে। এই দিন মূলত দাবি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা হবে।
দাবি বাস্তবায়ন আলোচনার প্রতিবেদন ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন সমন্বয়ক রাসেল।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা জানান, তারা প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া কারও সঙ্গে তারা আলোচনা করতে চান না। সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে দুজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।