জামিনে বেরিয়ে মানববন্ধন করলেন যুবলীগ নেতা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট | 2024-10-01 16:09:19

জামিনে বেরিয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলা সদরের স্মৃতিসৌধের সামনে মানববন্ধন করা হয়।

এর আগে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মহিষখোচা বাজারে বিদ্যতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে বিদ্যুৎকর্মীদের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলে গ্রেফতার হন যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী।

জিন্নাত আলী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের নুরল হকের ছেলে। তিনি মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।

মামলার এজাহার ও স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী দীর্ঘ দিন ধরে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মহিষখোচা বাজারে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ওয়ার্কসপ ও বাজারের ১৫/২০টি দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যবসা করে আসছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সেই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে দলবল নিয়ে দেশি অস্ত্রে বিদ্যুৎকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালান যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী। এ সময় হামলায় আহত ৯ বিদ্যুৎকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা।

এ ঘটনায় ওই দিন আদিতমারী জোনাল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ জালাল বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়ার(১৯) নামসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাঁধাসহ কয়েকটি ধারায় আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা কয়েকদিন হাজতবাস করে আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসেন।

মানববন্ধন থেকে ডিজিএমকে স্বৈরাচার আখ্যাদিয়ে তাকে এক ঘন্টার মধ্যে বদলির দাবি করা হয়। মানববন্ধন শেষে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যানযট সৃষ্টি হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ নেতার চাচা স্থানীয় ইলেক্ট্রিশিয়ান ছকমল হোসেন, প্রতিবেশি রাব্বুল, যুবলীগ কর্মী মোস্তাকজামান পিপলু প্রমুখ।

আদিতমারী জোনাল অফিসের জেনালের ম্যানেজার আইয়ুব আলী বলেন, কিছু স্থানীয় ইলেক্ট্রিশিয়ান ও দালাল বিগত দিনে দালালি করে গ্রাহকদের হয়রানী করত। আমি আসার পরে অফিস দালাল মুক্ত ঘোষণা করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। আর যুবলীগ নেতা জিন্নাত বছরের পর বছর ধরে ক্ষমতার জোরে লাইনে হুক লাগিয়ে ওয়াকশপসহ বাজারে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ বিক্রি করে ব্যবসা করেছে। সেই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মামলা করায় তিনি ক্ষেপে গিয়ে মানববন্ধন করতে পারেন। আমি যা করেছি তা বিধিসম্মত ভাবে করেছি। বদলি দেয়ার দায়িত্ব ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। আমি এতে বিচলিত নই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর