তালিকাভুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধী ২২ একটিভিস্টকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। কিন্তু এরপরও প্রচুর সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী পালিয়েছেন। তারা কীভাবে কোন সীমান্ত দিয়ে দেশ থেকে পালালেন তা জানে না বিজিবি।
বিজিবি বলছে, এসব ঘটনার অবশ্যই তদন্ত হবে, তদন্ত হচ্ছে। কোন বিওপি'র আওতাভুক্ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা পালিয়েছেন তা তদন্ত করা হচ্ছে। তবে তাদের প্রশ্ন, এর দায় শুধু বিজিবির কেনো?
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিজিবি সদর দফতরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, দেশ থেকে পালানোর ঘটনায় বিজিবির দায় আছে। তবে শুধু কি বিজিবিই দায়বদ্ধ? কোন সীমান্ত দিয়ে কে গেলেন তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
৬ আগস্ট থেকে স্ক্রল দেখেছেন যে, সীমান্ত পথে পালানো রোধে বিজিবিকে সহায়তা করুন। এই নির্দেশনা কেউ বিজিবিকে দেয়নি, নিজ উদ্যোগে করেছি। তখন থেকে আমরা চেষ্টা করছি। তথ্য দেয়ার যে সব সংস্থা আছে তারাও যদি তথ্য দেন তাহলে কাজটা সহজ হয়।
সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার মনে হয় না। জনবহুল এই দেশে কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন। মাদক ব্যবসায়ী বদিকে ধরার জন্য বেশ কটি অভিযান পরিচালনা করেছি। শোনা গেলো তিনি ট্রলারে করে মিয়ানমার গেছেন। কিন্তু গ্রেফতার হলেন শীতাকুন্ড থেকে। এরকম একদিকে যাবার আওয়াজ দিয়ে অন্য দিক থেকে পালানোর চেষ্টা করছে অনেকে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের কাছেও তথ্য থাকে। বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নিবো। আমরা পালানো রোধে বদ্ধপরিকর।