বিস্ফোরক ও হত্যা মামলার আসামী ছেড়ে দেয়ার ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেনসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রশাসনিক কারণে তাদের জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্তরা হল আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন, থানার উপ পরিদর্শক দীপক কুমার ও প্রদ্যুত ঘোষ চৌধুরী।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা তিনজনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত চলমান থাকায় তাদের প্রশাসনিক কারনে তাদের জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটাকে প্রত্যাহার বলা যাবে না। বিস্তারিত জানার জন্য তিনি সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলতে বলেন।
সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রকিবুল হাসানের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামী রোমান মিয়াকে যৌথবাহিনী আটকের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। তাকে ছেড়ে দেয়ার এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে বাদি ভূলক্রমে তাকে আসামী করেছে বলে জানানোর কারণে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে আশুগঞ্জ বাজারের ভাড়া বাসা থেকে রোমান মিয়াকে আটক করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। রোমান মিয়া আশুগঞ্জ থানায় ২০ আগস্ট হওয়া একটি মামলায় এজাহার নামীয় ৬নং আসামী। তাকে ছেড়ে দেয়ার এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার সময় আশুগঞ্জ বাজারের ভাড়া বাসা থেকে যৌথ বাহিনীর একটি দল রোমান মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। রাত থেকেই তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের লোকজন থানায় চাপ দিতে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে থানার সামনে অনেকেই অবস্থান নেন তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য। একপর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।