ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা নিশ্চিত করবে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি'র প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) গুলশান-২ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ কমিটির প্রথম সভায় এসব জানান তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ডিএনসিসি'র প্রশাসককে সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য-সচিব করে বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গঠিত কমিটি'র কর্মপরিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কমিটির সদস্যবৃন্দ 'স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন( সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা প্রদান করবেন; 'স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন( সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এর ধারা ২৫ক এর উপধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও ২৬ সেপ্টেম্বর সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলরদের স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সভার শুরুতে সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি'র প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, 'ডিএনসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ড পর্যায়ের নাগরিকদের জন্য যেসকল সেবা রয়েছে সেগুলো কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের যে প্রত্যাশা রয়েছে সেই প্রত্যাশা পূরণে ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং গঠিত কমিটি অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবে। আইন ও বিধি অনুসরণ করে জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি কাজ পরিচালিত হবে।'
ডিএনসিসি'র প্রশাসক বলেন, 'ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের তদারকি টিম এবং ডিএনসিসি'র কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি টিম মশক নিধন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করছে। এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তদারকি আরো জোরদার করা হবে।'
সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুুখ।