রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতের নাম- শাকিল হোসেন (৩০)। তিনি ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি। গতকাল রাতে অস্ত্রসহ হাজারীবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় তার বাসা থেকে একটি রিভলভার, একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও ব্যবহৃত রিভলভারের গুলির খোসা, দুটি চাপাতি, দুটি বড় ছোড়া এবং একটি রাম দা উদ্ধার করা হয়।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বরের মিনা বাজারের এলাকায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। হামলা সাহেদ আলী (২৭) সহ অনেক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধসহ গুরুতর আহত হয়।
সাহেদ নিহতের ঘটনায় তার আপন ভাই শরিফ গত ৩ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন।
এছাড়াও গত ১৯ জুলাই ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ধানমন্ডি-১৫ আবাহনী মাঠের বিপরীত পাশে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে হাসনাইন আহমেদ নিহত হয়। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
দুই মামলার আসামি ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মো. শাকিল হোসেনকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে রিভলবার, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল পুলিশকে জানিয়েছে, সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার মিছিলের ওপর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ধানমন্ডি সহ বিভিন্ন এলাকায় নিরীহ ছাত্র জনতাকে গুলি করেছে।
তিনি আরও জানান, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শাকিল হোসেনের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিষয় তথ্য জানতে গ্রেফতারকৃতকে রিমান্ড আবেদনসহ আদালেত পাঠানো হয়েছে।