ফুলপুর ও তারাকান্দায় বন্যার পানি, চলছে উদ্ধার কাজ

, জাতীয়

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) | 2024-10-06 17:32:31

ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের ১৫ গ্রামে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এছাড়াও বন্যার পানির কারণে ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় ৪ হাজার ২৬০ হেক্টর আমন ধানের জমও নিমজ্জিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে দু/তিন দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ফসলের ক্ষতি হবে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থেকে মালিঝি নদী হয়ে বন্যার পানি ফুলপুরে প্রবেশ করেছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনয়নের নিচু এলাকায় পানি জমতে শুরু করে। এরমধ্যে শনিবার রাতভর টানা বৃষ্টিতে পানি বাড়তে শুরু করলে মানুষ পানিবন্দী হতে শুরু করে।

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, 'শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে নেমে আসা পানি প্রায় পুরো ছনধরা ইউনিয়নে প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকে উদ্ধার কাজ চলছে। স্থানীয় নৌকা ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক শ মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নটিতে যাওয়ার সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্যান্য ইউনিয়নেও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও জলবদ্ধতা রয়েছে, তবে ছনধরায় সবচেয়ে বেশি। আজ সকালের হিসাবে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে, তবে এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

এদিকে ফুলপুরে পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছে র‍্যাপিড রেসপন্স বিডি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা নৌকা নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বয়স্ক, শিশু ও নারীদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায় বলে জানান সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাসফিক হক নাফি। তিনি বলেন, ‘আজ দুপুর দুইটা পর্যন্ত ২৬৭ জনকে উদ্ধার করেছে ১৯ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে গঠিত আমাদের টিম। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা, কাকনী, তারাকান্দা, ঢাকুয়া ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা সবচেয়ে বেশি।

তারাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুনিমা কাঞ্চি সুপ্রভা শাওন বলেন, 'জলাবদ্ধতায় ৬০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৫৬০ হেক্টর ধান ও ৪০ হেক্টর শীতকালীন আগাম সবজি। দু-তিন দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে কৃষকের তেমন ক্ষতি হবে না।

তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত মোটামুটি ভালো রয়েছি। বৃষ্টি বাড়ল এখানেও পরিস্থিতি খারাপের আশঙ্কা রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর