রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আমতলী এলাকায় গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল ছয় থেকে সাতটি যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মুঠোফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ যাওয়া গেছে। তবে পুলিশের দাবি ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। রোববার (৬ অক্টোবর) কুমারখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহীন ও প্রত্যক্ষদর্শী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডাকাতির কবলে পড়া রোজিনা পরিবহনের যাত্রী কে এম আর শাহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, 'আমাদের গাড়ির সামনের ৫ থেকে ৭টি বাস, ট্রাক ও প্রাইভেটকারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মুঠোফোন ও দামি মালামাল লুটে নিয়েছে ডাকাত দল। পরিস্থিতি দেখে খোকসা ও পাংশা থানা পুলিশকে দ্রুত খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার বিষয়টি জানতে পেরে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।'
মুঠোফোনে শাহিন বলেন, আমি শনিবার রাতে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলাম। রাত ২টার দিকে পাংশা পাড় হয়ে আমতলী এলাকায় পৌঁছালে আমাদের গাড়ির চালক হঠাৎ ব্রেক করে বসে। তখন সামনে চিৎকার শুনতে পাই। দেখলাম ৮ থেকে ৯ জন ডাকাত যানবাহনে ডাকাতি করছে। আমাদের গাড়ির সামনে একটি কাভার্ড ভ্যানের চালকের গলায় অস্ত্র ধরে। দ্রুত খোকসা ও পাংশা থানায় ফোন করি। পুলিশ আসলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
মাদারীপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ কাজ করছেন। আমি পাংশা পুলিশকে অনুরোধ করেছি বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে।