শারদীয় দুর্গা পূজাকে ঘিরে ভোগের থালা সাজাতে ও অতিথি আপ্যায়নে মুখরোচক খাবার নারিকেলের নাড়ু বানানোর ধুম পরে। বাজারে সারাবছর নারিকেলের চাহিদা থাকলেও, পূজার সময় কদর বেশি থাকায় পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। পরিবারের চাহিদা মেটাতে দরদাম করে নারিকেল কেনেন ক্রেতারা।
তবে পূজার আমেজের সাথে নারিকেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুন। দাম শুনে হাত সরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে বিপাকে রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
রংপুর সিটি বাজার ও বেতপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, নারিকেলের পসরা সাজিয়ে, গুড়ের ডিমা নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। দ্বিগুণ দাম শুনে অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনছেন, কেউ আবার না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। পূজা উপলক্ষে জমজমাট বিক্রি নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় বিক্রি কম জানিয়ে বিক্রেতা অজয় ঘোশ বলেন, 'বাগেরহাট, পিরোজপুর,কেশবপুর থেকে আনা হয় নারিকেল। আগে নারিকেলের দাম ছিল ৬৫-৮০ টাকা। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম, দাম অনেক বেশি। কেজিপ্রতি ১৩০-১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দাম শুনে ক্রেতারা কিনতেই চায় না। দোকান সাজাইছি কিন্তু পূজায় যেমন বিক্রি হওয়া উচিত তেমন বেচা-কেনা নাই। নারিকেলর সাথে আখের গুড় ৭০০ গ্রামের ডিমা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা,খেজুরের গুড় ১৬০ টাকা। একটা সময় নারিকেলসহ নাড়ু বানানোর অন্যান্য উপকরণেনের দাম কম ছিল, তখন বেচাকেনা ভালো ছিল। এখন সবাই সাধ্যমত নামমাত্র কেনার চেষ্টা করে, এছাড়া উপায় নাই।'
নারিকেল কিনতে আসা ক্রেতা সুভাষ মুকুল বলেন, 'যে জিনিসের দাম, পূজার আনন্দে আপ্যায়নে বেশি কিনতেও পাচ্ছি না। আবার না কিনলেও হয় না। অন্ততপক্ষে ভোগের থালা সাজাতে হলেও নাড়ু বানাতেই হবে। ১ পিস নারিকেল ১৩০ টাকা দিয়ে কিনতে পারলাম না। এখনো আরও কয়েকদিন আছে বাজার ঘুরে সাধ্যমত হলে কিনবো।'
নারিকেল বিক্রেতা অর্তুল ঘোষ বলেন, 'যেইহানে ১ লাখের নারিকেলের দরকার, দ্যাশে উৎপাদন হচ্ছে ৫০ হাজার। দাম তো বাড়বোই। একটা ডাব কিনতে ১৪০ টাকা লাগে আর নারিকেল ১৩০ টাকা৷ বেশি কইরা নারিকেল গাছ না লাগাইলে সামনে বার আরও নারিকেল পাওয়া যাইবো না।'