‘রাজউকে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা আমরা সত্যিকার অর্থেই দেখিনি’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা | 2024-10-07 12:03:04

রাজউকে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা আমরা সত্যিকার অর্থেই দেখিনি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজউক ভবনে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে 'তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি' প্রতিপাদ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলন, এরশাদ সাহেব যখন ডিআইটি থেকে রাজউক করে দিলো তখন রাজধানীতে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়নই হলো। রাজউকও কর্তৃপক্ষ থাকলো। এখানে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা আমরা সত্যিকার অর্থেই দেখিনি। এখন রাজউকের যে বোর্ড আছে, এখানে সম্পৃক্ততার দরকার আছে। আমি যদি কয়েকজন আমলা দিয়ে মনে করি, রাজউককে আমি ইনক্লুসিভ করে ফেলেছি তাহলে সেটা আমার মনে হয় না আমরা সমাধানে পৌছাবো ।

রাজউক বোর্ডে আমাদের তরুণ তরূণীদের নিলে সমস্যা কোথায় প্রশ্ন রেখে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ আর্কিটেক্ট আছেন, নগর নিয়ে ভাবেন এমন আছেন। আমরা যখন দেখি সাত মসজিদ রোডে গাছ কেটে ফেলে তখন তরুণেরা দাঁড়িয়ে যায়। তখন কিন্তু দেখি না, রাজউকের বোর্ডের বা সিটি কর্পোরেশনের কেউ গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা এখন নতুন যে বাংলাদেশে বসবাস করছি এখানে অনেক চড়াই উতরাই পার হতে হবে আমাদের। খুব একটা মসৃণ রাস্তায় আমরা চলবো তা না। নানা রকম চ্যালেঞ্জ, নানা রকম বাধা বিপত্তি পার হয়েই আমাদের চলতে হবে।

রাজউকের ১৯৫৩ সালের আইনে আছে তারা উন্নয়ন স্কিম করবে। পূর্বাচল করে, উত্তরা করে কিন্তু ভাষানটেক শেষ করতে পারে না। এটা রাজউকের আইনেও আসে না।

ঢাকার বস্তিবাসীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় ৪০ ভাগ বস্তিবাসী বললে তারা পরিসংখ্যান দিয়ে বলে, না, না ২৮ শতাংশ। ২৮ শতাংশ হলে তারাও তো নগরবাসী। আইনে উন্নয়ন স্কিমগুলা যে নেন সেখানে এই মানুষগুলোর বসতি অধিকারের কি সম্পর্ক আছে? কোন সম্পর্ক নেই।

উন্নয়ন স্কিমে মন্ত্রীরা, এমপিরা, ব্যবসায়ীরা একটা করে প্লট থাকলে আরও দুইটা করে পাবে, দুইটা করে থাকলে আরও তিনটা করে পাবে কিন্তু নদী ভেঙে যাওয়া মানুষেরা কিন্তু পাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রাজউক বা গণপূর্তের বইতে গরীব মানুষ কোথায় প্রশ্ন রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, এই তরুণ-তরুণীর অংশগ্রহণ কোথায়? নগরবাসী কোথায়? এটা আমাদের জানতে হবে।

ঢাকার মাঠগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা শহর আমাদের মনে হয় শুধু মানুষ থাকবে আর কোন অধিকার নেই। থাকতে পারলেই হয়। তার যে একটু খেলতে হয়, রাস্তায় মোড়ে একটু বসতে হয়, মোড়ের জায়গাগুলোতে একটা আরবান স্পেস করে দেয়ার সুযোগ থাকে। সেখানে দুইটা বেঞ্চ থাকলেই মানুষ বসতে পারে। বসতি মানে শুধু আমার একটা বাসা থাকবে তা না। বসতি মানে আমার একটা বসবাসযোগ্য অবস্থানে আমি থাকবো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর