ভোলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে নৌবাহিনীর সদস্যরা। পূজার সময় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভোলার বিভিন্ন উপজেলার মন্দিরে মন্দিরে টহল দিচ্ছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে ভোলা সদর এর বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন শেরে-বাংলা নৌ ঘাঁটির কমডোর মোহাম্মদ এহসান উল্লাহ খান।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন যেন নিরাপদভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে এজন্য নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা দেয়া হবে। যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কোনোরকম ভীতি ছাড়াই তাদের উৎসব পালন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এবার ভোলা জেলায় ১০৬টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। এসব মণ্ডপে পূজারীরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদে পূজা করতে পারে এজন্য অন্যান্য বাহিনীর সাথে নৌবাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক পাহারায় নিয়োজিত থাকবে।
মন্দির পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল।
চাঁদপুরের কচুয়া বড় হায়াতপুর গ্রামে জান্নাতুন নাঈম মিশু (১৫) নামে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে নুর আলম (২৬) ও সজীব হোসেন (১৯) নামে ২ যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী নুর আলম বড় হায়াতপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে এবং সজীব হোসেন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাব্দেরগাঁও গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আব্দুল হান্নান এই রায় দেন।
এছাড়াও বিচারক আসামিদের ২০১/৩৪ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৭ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। আসামিদের উভয় সাজা একসাথে চলমান থাকবে আদেশে বলা হয়।
হত্যার শিকার শিশু জান্নাতুল নাঈম মিশু উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের প্রবাসী মো. আবু হানিফের মেয়ে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই শুক্রবার দুপুরে শিশু জান্নাতুন নাঈম মিশু বাড়ির পাশে নিজেদের পালিত ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যান। সেখানে উভয় আসামি শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় শিশুর মা ফাতেমা বেগম ৩ আগস্ট কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করেন কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মকবুল হোসেন। তদন্ত শেষে তিনি একই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ৪ বছর চলাকালীন অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রিয়াদ হোসেন মুনতাসির। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মাসুম হোসেন ভূঁইয়া।
গারো পাহাড়ের পাদদেশ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এখনো ৩৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ফলে খাবার সংকটে থাকা পরিবারগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চলছে ত্রাণ ও খাবার বিতরণ কার্যক্রম।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ জানান, বন্যা দুর্গত উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ইতিমধ্যে ভূবনকূড়া, জুবলী, কৈচাপুর, সদর, গাজীরভিটা ও পৌর এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধূরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ অপর ৬টি ইউনিয়নে। এতে ওইসব এলাকায় বতর্মানে ১৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, উপজেলার মোট ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গামারীতলা, ঘোঁষগাঁও এবং দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে কমেছে বন্যার পানি। তবে সদর, গোয়াতলা, পোড়াকানদলিয়া ও বাগবেড়সহ ৪টি ইউনিয়নে বন্য পরিস্থিতির অবনতি থাকায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি।
এছাড়াও নতুন করে ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর, ছনধরা ও সদর ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি ভাটির দিকে নেমে আসায় বর্তমানে ফুলপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৫ হাজার একশত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭ হাজার।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন জানান, বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবন্দিদের উদ্ধার কাজের পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে চলছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। এসব এলাকায় ইতিমধ্যে ৬৩ মেক্ট্রিক টন চাল, ৭ লাখ নগদ টাকা এবং দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে বন্যার কারণে মৎস্য খাতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ৭ হাজার ৮০ জন মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে ২১৭ লাখ, ভেসে গেছে ৫ হাজার ৬২৪ লাখ টাকার মাছ ও ১৪৯ লাখ টাকার রেনো পোনা ভেসে গেছে।
এছাড়াও জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, জেলার তিনটি উপজেলার মধ্যে ধোবাউড়া উপজেলায় ধান ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। হালুয়াঘাটে তলিয়ে গেছে হয়ে ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান এবং ৭৫ হেক্টর সবজি ফসল। একই অবস্থা ফুলপুরেও। এই উপজেলায় ৩ হাজার ৬৩০ হেক্টর ধান এবং ৬২ হেক্টর সবজি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
ওএসডির পর এবার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বরখাস্তের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করায় তাকে ওএসডি করা হয়।
সমালোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এ পোস্টে লেখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।
পরে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি। বদলি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর জন্য যদি আমার চাকরি চলে যায়, সমস্যা নেই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, এটা মীমাংসিত সত্য। রিসেট বাটন মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলা, এর মানে কি? তাহলে তো আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আমাদের দেশে সরকার হিসেবে আছে। আমার মনে হয়েছে, আমার দায়িত্বশীল জায়গা এটাই। বলা হচ্ছে জুলাই গণহত্যা, এগুলো সবই তদন্ত সাপেক্ষ, মীমাংসিত সত্য না। এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি তো।’
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর সাত্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হকের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুর সাত্তার অনিয়ম দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়োগ বানিজ্যসহ বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ক্রয়ের টাকা ও অতিরিক্ত ভর্তি ও সেশন ফি আত্মসাতের অভিযোগের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনীত কিছু অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। এ বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা, ২০২৪ অনুসরণপূর্বক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এরআগে প্রধান শিক্ষক আব্দুর সাত্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।