কুতুবদিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ চারজনকে আটক করেছে নৌবাহিনীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলো, উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. ফিরোজ খান প্র. মঞ্জু ডাকাত (৪৫), কৈয়ারবিলের মৃত গোলাম মাবুদের ছেলে মো. সুজা উদ্দিন (৩৮), আলী আকবর ডেইলের তাবলরচর এলাকার মো. শিকদার মিয়ার ছেলে মো. সাহেদ (৩৬) ও একই এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে মো. নেছার (৩৮)।
নৌবাহিনীর ডেস্কের সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপার স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আলী আকবর ডেইল, কৈয়ারবিল, উত্তর ধুরুং ও লেমশীখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রথমে শাহাবুদ্দিন ডাকাত বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নেছার ডাকাতকে আটকের পর তার তথ্যের ভিত্তিতে সাহেদ ডাকাতকে আটক করে নৌবাহিনীর টিম।
পরবর্তীতে ওই দু'জনের তথ্যের ভিত্তিতে রাতব্যাপী অভিযানে ডাকাত গুরা কালু দলের সদস্য মো. ফিরোজ খান, প্র. মঞ্জু ডাকাত ও সুজা উদ্দিন ডাকাতকে আটক করা হয়।
এ সময় পৃথকভাবে আটককৃতদের নিকট ২টি বিদেশি পিস্তল,১টি দেশীয় রাইফেল, ১টি বিদেশি একনলা বন্দুক, ৬টি কার্তুজ, ৮টি তাজা গোলা, ২টি খালি কার্টিজ, ২টি বড় চাপাতি, ৮টি দা, বটি এবং চাকু জব্দ করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় টের পেয়ে শাহাবুদ্দিন বাহিনীর প্রধান শাহাবুদ্দিন, রবি বাহিনীর প্রধান রবিউল্লাহ, কালু বাহিনীর প্রধান প্র.গুরা কালুসহ ডাকাত সদস্য এ.আর খান, আবুল কাশেম, ইসমাইল প্র. সোনা মিয়া ডাকাত অস্ত্রসহ একটি মাছ ধরার ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, শাহাবুদ্দিন, রবিউল্লাহ, প্র. গুরা কালু ও মন্জু ডাকাতদের চারটি ট্রলার একত্রিত হয়ে সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতি করে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি,খুন, অপহরণ, জমি দখল ও অন্যান্য বিবিধ অপকর্মে লিপ্ত থাকেন।
এদিকে আটকৃত ডাকাত ও উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে কুতুবদিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরমান হোসাইন নিশ্চিত করেছেন।