বাড়ছে শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণে শিশু রোগীর সংখ্যা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 18:31:37

দূষিত আবহাওয়া ও বাতাসে ক্ষুদ্র ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ তার আশেপাশের এলাকার শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণজনিত নানা জটিল রোগে। তাছাড়া শীতের কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগব্যাধিতে। ফলে রাজধানীর হাসপাতাগুলোতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল শিশু ইউনিট ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। 

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি থাকে। তাছাড়া ঢাকা শহরের বাতাসে এই ক্ষুদ্র ধুলিকণার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে এই দুষিত বাতাস শিশুদের নাক মুখ দিয়ে ফুসফুসে ঢুকে সৃষ্টি করছে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, হাপানি, অ্যজমা, ফরেনজাইটিস সহ নানা জটিল রোগের। তাছাড়া জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ অন্যান্য রোগ তো আছেই।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আসছে শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে। তাদের মধ্যে আবার অনেকেই আসছে ব্রঙ্কিওলাইটিস রোগের শেষ ধাপ নিয়ে। ফলে এত বিশাল পরিমাণ শিশু রোগীদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০৮ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি শিশু শ্রাবণীর অভিভাবক জানালেন, তার সন্তান জ্বর ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত ছিল। হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।

এই বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটিরত শিশু বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার শেখ আসিফের সাথে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে এক মাস থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এখানে যেসব রোগী আসে তাদের মধ্যে ৪০-৫০ ভাগ আসে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে, এটা নিউমোনিয়া নামেও পরিচিত।’

‘এই নিউমোনিয়া রোগের জীবাণু সাধারণত দূষিত বাতাস বা দূষিত পরিবেশের মাধ্যমে ছড়ায়। আমাদের বড়দের দেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে এই জীবাণুদের প্রতিরোধ করে। কিন্তু বাচ্চাদের এই প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, ফলে তারা সহজেই আক্রান্ত হয়।’

প্রতিরোধ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আগে মায়েদেরকে সচেতন করতে হবে, কারণ বাচ্চাদের দেখাশোনা তাদের মায়েরাই করেন। খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চারা যেন ধুলোবালির মধ্যে না থাকে, বাহিরে গেলে মাক্স ব্যবহার করে, বাচ্চার আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। যারা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তারা যেন বাচ্চাদের অন্য কোনো খাবার না খাওয়ান।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আর একটা বিষয় অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চাদের কোনো রোগের উপসর্গ দেখা দিলে, অবহেলা না করে সাথে সাথে যেন তারা নিকটস্থ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর