বাস মালিকদের সুবিধা দিতেই রেলের ভাড়া বৃদ্ধি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটি বলছে, যানজটে নাকাল দেশবাসীকে যাতায়াতে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে রেলখাতের উন্নয়নে লাখো কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে নতুন নতুন রেলপথ ও রেল স্টেশন নির্মাণ, নতুন কোচ ও ইঞ্জিন আমদানি করে এই খাতকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে রেলসেবা জনগণকে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাইছেন। ঠিক তখনই রেল কর্তৃপক্ষ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের নামে ভাড়া বৃদ্ধি করে দূরপাল্লার যাত্রাপথে রেলের ভাড়া বাসের ভাড়ার চেয়ে বেশি নির্ধারণ করে বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রেলপথকে অতীতের মতো নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রাখার দাবি জানাচ্ছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিয়ে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া ও সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে।

>> ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

>> ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

>> ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

>> ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

>> ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুলবাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।

পর্যবেক্ষণে আরও দেখা গেছে, রেলখাতকে লাভজনক করার ঘোষণা দিয়ে ২০১২ সালে সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। একইসাথে ২০১২ সালের ভাড়া বৃদ্ধির সময় ট্রেনের ওই সময়ে বিদ্যমান সেকশনাল রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরে আসলেই কি রেল লাভবান হয়েছিল? ওই বছর অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রেলের লোকসান ছিল ১২২৬ কোটি টাকা। এতে বুঝা যায় কেবল ভাড়া বৃদ্ধি করে লাভবান হওয়া বা লোকসান কমানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

বর্তমানে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে যে হারে রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, এতে যাত্রীরা রেল বিমুখ হবে, রেলে টিকিটবিহীন যাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা বাড়বে, রাজস্ব আয় কমবে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লুটপাটের সুযোগ আরো বাড়বে। রেলের আয়বর্ধক খাত যেমন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে পণ্যবাহী ট্রেন থেকে আয় বাড়ানো দিকে না ঝুঁকে রেলওয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে আয় বাড়ানোর যে আকাশকুসুম পরিকল্পনা করছে সেটি কার্যত ব্যর্থ বলে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রেলকে বিকশিত করার লক্ষ্যে গত ১৪ বছরে ৯৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরে এখনো ৬০ শতাংশ রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ, ৮০ শতাংশ লোকোমোটিভ ও ৬৩ শতাংশ কোচ মেয়াদোত্তীর্ণ, যার অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে। পরিকল্পনার গলদে ট্রেনের টিকিট ১০দিন আগে কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের, অথচ ৯০ শতাংশ যাত্রী ১০দিন আগে ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারে না, অন্যদিকে বাসের টিকিট তাৎক্ষণিক পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনের টিকিট যাত্রীরা সহজে কাটতে পারে না, ফলে কখনো কালোবাজারি বা স্টেশনের পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের দোকান থেকে টিকিট কিনতে হয়। এভাবে টিকিট ক্রয়ের কারণে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষ অনেক সময় প্রতারিত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে কখনো কখনো রেলে কর্তব্যরতদের ম্যানেজ করে বিনা টিকিটে ভ্রমণে বাধ্য হন অনেক যাত্রী।

তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটলে মাঝপথে যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে, এমন পরিস্থিতিতে রেললাইনের আশেপাশে দোকান থাকে না বলেই অনেকে অনাহারে অর্ধা‌হারে কষ্ট ভোগ করতে হয়। লাইনচ্যুতি ও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেক যাত্রীর চাকুরি, পরীক্ষা, বিদেশের ফ্লাইট, আদালতের হাজিরার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে যোগ দিতে না পেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সাধারণ মানুষকে রেলমুখী করে নামমাত্র মূল্যে টিকিট বিক্রি করে রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

আরও বলেন, ভারতে শেয়ালদহ রেলস্টেশন থেকে আজমীর জংশন পর্যন্ত ১৬৪২ কিলোমিটার দূরত্বে ১টি প্রথম শ্রেণির বার্থ সিটের ভাড়া মাত্র ৬৯০ রুপি, সেখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৩৪৬ কিলোমিটার (প্রকৃত দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটারেরও কম) ১টি নন এসি বার্থ সিটের ভাড়া ৮১০ টাকা। শেয়ালদহ রেলস্টেশন থেকে বনগাঁও ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে লোকাল ট্রেনের ভাড়া মাত্র ২০ রুপি। আর বাংলাদেশে ১টি টিকিট কাটতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কমকে কমিশন দিতে হয় ২০ টাকা।

সহজ ডটকমসহ বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন খাতে পণ্য ক্রয় বা ব্যবসায়িক কৌশলের কারণে গ্রাহককে নানামুখী ছাড় দিলেও রেলের ক্ষেত্রে উল্টো আচরণ করছে। অর্থাৎ রেল প্রশাসনের মতোই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও যাত্রীদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে শুধুই বেহিসাবি মুনাফা করে যাচ্ছে। ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে রেলে সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য পরিবহন করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ভারতের পণ্যবাহী ট্রেনে ৫০ থেকে ৭৫টি পর্যন্ত কোচ ব্যবহার করে খরচ কমিয়ে আনে। এমন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে সারা দেশে রেলপথে পণ্য পরিবহন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মাছ, মাংস, সবজি ও নিত্যপণ্য পরিবহন করা গেলে এদেশেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

অন্যদিকে রেলের অনিয়ম-দুর্নীতি, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বন্ধ করে, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি নানামুখী লাভজনক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রেলকে ধীরে ধীরে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব। এজন্য রেল মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে সৎ, নিবেদিতপ্রাণ, চৌকস, ব্যাপক দেশি-বিদেশি কারিগরি জ্ঞানসমৃদ্ধ একঝাঁক দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা প্রয়োজন। একইসাথে শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে রেলের উপর জেঁকে বসা দুর্নীতিবাজ কালো বিড়ালের বিষদাঁত উপরে ফেলার এখন সময়ের দাবি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ন মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

   

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছে। এই অর্থ মূলত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সেসিলিয় কর্টসি সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।

ঋণ চুক্তির আওতায় এই অর্থ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিঞ্চু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ ভিত্তিক অগ্রযাত্রায় ব্যয় করা হবে।

;

সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২০ মে) পৌঁণে ১০টার দিকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছেন দুজন। এসময় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় আহত দুজন হলেন -রোহান (৩৮), রাজু (২৪)। তারা দুজনেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারী সিলেট সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং সোম ও সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের অনুসারী রোহানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রাত পৌনে ১০টার দিকে হাউজিং স্টেট এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার রাত ১০টার দিকে রোহানসহ তার পক্ষের নেতাকর্মীরা নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল করে পিয়াংয়ের খোঁজ নিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রোহানের পক্ষের তিনটি মোটরসাইকেল আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় রোহান ও রাজু নামে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ জানান, তারা দুজনেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সিলেটে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার বিষয়টি শুনেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আগুনে দগ্ধ তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে ও দুজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ২ ভাইয়ের ৪ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ১২লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার (২০ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশি গ্রামের বেপারী বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেপারী বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আগুন লেগে সালাম বেপারী ও তার ভাই সামাদ বেপারীর বসত ঘরে ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী সালাম বেপারী বলেন, দুই ভাইয়ের পরিবারের প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ পুড়ে সব শেষ কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি।

নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মৃধা বলেন, ওই দুটি পরিবার খুব গরিব। এক জন নরসুন্দা ও অন্যজন রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আগুনে ওদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রামপ্রসাদ পাল বলেন, স্টেশন থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে। তাছাড়া রাস্তাঘাটের অবস্থা তেমন ভাল না। তাই, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।

;

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, শুধু নগরকেন্দ্রিক উন্নয়নে আবদ্ধ না থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন ঋণ দিবে, তাকে তো কিছুর উপর ভিত্তি করে ঋণ দিতে হবে। সেটা যে অংকের ঋণ হোক। ২০২৪ সালে এসে শুনতে হয় আমি ব্যবসার হিসাব রাখতে পারছি না। কত টাকার মালামাল বিক্রি করছি, কত টাকার কিনছি তার হিসাব রাখতে পারছি না। যে জন্য ব্যাংকে যেতে পারছি না। খাতা বা মোবাইলে বিভিন্ন এ্যাপের মাধ্যমে হিসাব রাখা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে উদ্যোক্তারা অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ব্যবসার অভিজ্ঞতা নিতে পারে।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলায় আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর বাজেটে একশ' কোটি টাকা রাখা হয় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য, সেটা ব্যবহার হয় না। উদ্যোক্তারা যদি আরও তৎপর হন, তাহলে তাদের ব্যবসার অর্থায়নের যথেষ্ট সুযোগ আছে। আমরা স্মার্ট ফাইন্যান্সিং করছি। পাঁচ বছর পর ব্যবসা কোথায় নিবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা থাকতে হবে। সরকারের দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পনীতি-২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সিটি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ,এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ব্রাক ব্যাংকের হেড অব এসএমই মো: জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সেমিনার শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এসএমই মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ও উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন।

;