রাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারি মোড় এলাকায় মাত্র দেড় হাজার টাকার জন্য নাজমুল ইসলাম রেদুয়ান (১৩) নামের এক কিশোরকে অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লোহমোর্ষক এ হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান।
তিনি জানান, নাজমুল ইসলাম রেদুয়ান হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মিলন (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাজমুল ইসলাম রেদুয়ান সম্পর্কে মো. মিলনের ফুফাতো ভাই।
পুলিশ বলছে, নিহত নাজমুলের বাবা আব্দুল কালামের কাছে পাওনা দেড় হাজার টাকা না পাওয়ার জেরে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড ঘটান মিলন।
গতকাল বুধবার বরিশালে অভিযান চালিয়ে মো. মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে মিলনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ থানার খোলামুড়া এলাকা থেকে অপহৃত নাজমুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেন, হাজারীবাগ থানার ট্যানারি মোড় এলাকা থেকে স্কুলছাত্র নাজমুল ইসলাম অপহরণের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারী নিজেই ফোন দিয়ে তার কাছে নাজমুল আছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারকে জানায় এবং ৬ হাজার টাকা দাবি করে। নাজমুলের বাবা ৬ হাজার টাকা পাঠানোর পর অপহরণকারী দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে বিষয়টি হাজারীবাগ থানার পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারী মিলনের অবস্থান বরিশাল শনাক্ত করে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর মিলন অপহরণের কারণ ও হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
মিলনের বরাত দিয়ে এসি তারিকুজ্জামান বলেন, মিলন পেশায় একজন শ্রমিক। আর নিহত নাজমুলের বাবা ঠিকাদার। মিলন কিছুদিন পূর্বে নাজমুলের বাসায় অবস্থান করে তার বাবা কালামের সঙ্গে কাজ করছিলো। কাজের ১৫০০ টাকা পেতো মিলন। এই টাকা চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে মিলনকে টাকা দিতে পারেননি কালাম। কাজের বিল পেলেই টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমুলকে বাসা থেকে অপহরণ করে মিলন। এরপর কেরানীগঞ্জ থানার খোলামুড়া এলাকার একটি কাশবনে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর সেখানেই মরদেহ ফেলে দিয়ে বরিশাল চলে যায়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী কাশবন থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, স্কুলছাত্র নাজমুল ইসলাম হত্যায় নিহতের বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মিলনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।