রাজধানীর হাতিরঝিলে মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় দীপ্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিম হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম রবিকে ধরতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর হাতিরঝিল থানা পুলিশের একটি দল রবির হাতিরপুলের বাসায় অভিযান চালায় বলে জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘অভিযানে বাসাটিতে কাউকে পাওয়া যায়নি।’
রবি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। ঢাকা মহানগর বিএনপির সমন্বয়কের দায়িত্বে তিনি। ঢাকা-১০ আসনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
রবিকে গ্রেফতার অভিযানের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি রুহুল কবির জানান, হত্যাকাণ্ডে বিএনপি নেতা শেখ রবিউল আলমের সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে।
নিহত তামিমের পারিবারিক সূত্রে পুলিশ জানায়, রাজধানীর রামপুরা মহানগর প্রজেক্টে বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে জমির মালিক ও প্লেজান্ট প্রপার্টিজ (প্রা.) লি. নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে গত বৃহস্পতিবার ডেভেলপার কোম্পানি, জমির মালিক ও ভবনের অন্যান্য মালিকের মধ্যে ভাঙচুর এবং হাতাহাতির ঘটনায় গুরুতর আহত হন দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান তামিম। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারণা চালান রবিউল ইসলাম রবি। তামিম হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবার ১৬ জনকে আসামি করে যে মামলা করেছে তাতে তিন নম্বর আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ রবিউল আলম রবি। তিনি ডেভেলপার কোম্পানি প্লেজান্ট প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ওই কোম্পানি নিহত তামিমের বাবার জমিতে চুক্তির ভিত্তিতে একটি ভবন তৈরি করে। যেখানে আরও দুজন জমির মালিক রয়েছে। অন্য মালিকদের প্রাপ্ত ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হলেও তামিমদের সম্পূর্ণ পাওনা হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ তার পরিবারের। ভবনের সেই ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ডেভেলপার কোম্পানির লোকেরা বাড়িতে ঢুকে তামিমে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের।