সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে কুষ্টিয়ায় ট্রেন আটকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করলে এতে যোগ দেন সর্বস্তরের মানুষ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থার সভাপতি সাদিক হাসান রহিদ, আলমগীর, এনামুল, ইলিয়াস
বক্তারা বলেন, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস এই ট্রেন দুইটি রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। তাদের রাজধানী ঢাকায় যেতে পড়তে হবে চরম বিড়ম্বনায়। তাই অবিলম্বে এই রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এরপর দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনটি আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে স্টেশন মাস্টারের আশ্বাসে আধাঘণ্টা পর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন মাস্টার ইতিয়ারা খাতুন বলেন, সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদের এখনও পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিক কোনো কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস এই ট্রেন দুটি চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া রাজবাড়ী ও ফরিদপুর হয়ে ঢাকা রুটে চলাচল করে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস এই ট্রেন দুইটি রুট পরিবর্তন করে খুলনা, যশোর, মাগুরা হয়ে পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।