ঢাকা জেলার সাভারে অবৈধ দুই ইটভাটা ও আটটি ব্যাটারি কারখানায় অভিযানে ৪ জনকে বিভিন্ন শাস্তি দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বলিয়ারপুর এলাকায় সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সরকারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে পরিবেশের ক্ষতি করে অবৈধভাবে এ ইটভাটা ও ব্যাটারি তৈরির কারখানা পরিচালনা করা হচ্ছিল। সকালে এতে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ব্যাটারি তৈরির কারখানা সংশ্লিষ্ট ৩ জন ও ইটভাটা সংশ্লিষ্ট ১ জনকে আর্থিক দণ্ডসহ বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আমিনবাজারের হোম ব্রিকসের অফিস সহকারী মুক্তার হোসেন (৫৫) ও ম্যানেজার জাকির হোসেন (৫০)। দুজনকেই ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ এর ৫ ধারা অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ব্যাটারি কারখানার ম্যানেজার আউয়াল হোসেনকে (৪০) ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর কারখানার হেল্পার মো. সুজন (৩৮) ও মুক্তার হোসেনকে (৩৫) এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবু বকর সরকার বলেন, সাভারের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ সীসা কারখানা, ব্যাটারি কারখানা ও অবৈধ ইটভাটা রয়েছে এমন খবরে এখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ সীসা কারখানায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুইজনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনা আইন ২০১৩ এর আলোকে একজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, অনাদায়ে অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সাভারবাসীকে জানাতে চাই, যেসব অবৈধ ইটভাটা রয়েছে, তাদের ভাটা বন্ধ করতে আহ্বান জানাই। আর অবৈধ সীসা, টায়ার কারখানাগুলো পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর। তাদেরও এসব কারখানা বন্ধের আহ্বান জানাই। তা না হলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযানে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাসেল ইসলাম নূর ও আমিনবাজার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বাসিত সাত্তারসহ উপজেলা প্রশাসন ও সাভার মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।