দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ আর ক্ষোভের শেষ নেই।। তবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা বাজারে শীতের সবজি উঠতে শুরু করায় দাম অনেকটায় কমতে শুরু করেছে। লাউ, ঢেঁড়স, পেপে সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য সবজির দাম সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে অনেকটাই কমেছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে কুয়াকাটার সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে ঢেড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা কেজিতে নেমেছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা কেজি ও পেঁপের কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক আগেও এসব সবজির দাম ছিল কেজি প্রতি ১০০ টাকার ওপরে ছিল।
এছাড়াও বাজারে ফুলকপি ৯০ টাকা পিস এবং লাউ আকারভেদে ৬০-৭০ টাকা পিস, টমেটো ১৮০ টাকা কেজি এবং কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ২৫০ টাকার ওপরে।
সবজি বিক্রেতা মো. জলিল বলেন, দাম আসলে ওঠানামা করে প্রতিদিনই। শীতের আগাম সবজি ওঠতে শুরু করায় সরবরাহ বাড়ছে আর এই কারণে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যেসকল সবজিগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম একদমই কম। উৎপাদন ভাল হওয়ার কারনে আমরা কম দামেই পাচ্ছি এবং কম দামে বিক্রি করতে পারছি।
বাজারে এসব সবজির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে ক্রেতাদের মাঝে।
সবজি কিনতে আসা শিক্ষক সাঈদ বলেন, সবজির দাম কমে এসেছে, তবে আরও কমা উচিত বলে আমি মনে করি। একদিক থেকে দাম কমলে অন্যদিক থেকে বেড়ে যায়। তবে আর একটু দাম যদি কমত তাহলে আমাদের জন্য ভাল হত। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।
সবজি কিনতে আসা মো ইশতিয়াক হাসিব বলেন, বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে অনেক সবজিতেই দাম কম মনে হচ্ছে। শসা গত সপ্তাহেও কিনছি ৮০ টাকা কেজিতে কিন্তু এই সপ্তাহে এসে দেখি ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এরকম দাম আসলে আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য স্বস্তিদায়ক।
সবজির পাশাপাশি মাংসের বাজারেও স্বস্তি মিলছে। গরুর মাংস ৭০০ টাক কেজি, ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা কেজি এবং কক সাদা ২৯০ কেজি, কক লাল ৩৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহের থেকে কেজিতে ১০-২০ টাকা কম।
তবে ক্রেতাদের দাবি দাম আর একটু কমলে ভাল হত।
বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ যাতে অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের নজর রয়েছে।