কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

, জাতীয়

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া, পটুয়াখালী | 2024-11-10 12:41:09

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বিচ ক্লিনিং কর্মসূচির আয়োজন করেছে এনহ্যানসড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ডফিশ (ইকোফিশ-২)।

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহৃত প্লাস্টিক যাতে জীব বৈচিত্র্যর ক্ষতিসাধন করতে না পারে এবং প্লাস্টিকগুলোকে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করার প্রচারণায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১ ঘটিকায় কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। পরে জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্বদিকে ঝাউবন পর্যন্ত পরিষ্কার করে ফের জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়।

এ কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, ব্লু -গার্ডের স্বেচ্ছাসেবী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অর্ধ শতাধিক মানুষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াল্ডফিশ ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহকারী গবেষক বখতিয়ার উদ্দিন, কলাপাড়া উপজেলার অফিস এ্যান্ড এডমিন এ্যাসিস্টেন্ট মো. সোহাগ, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার, কুয়াকাটা তরুণ ক্লাবের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ, বিডিক্লিন কুয়াকাটা টিমের সহ-সমন্বয়ক মিরাজ মিজু,সাংবাদিক আবুল হোসেন প্রমুখ।

ওয়াল্ডফিশের ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে পরিবেশ কর্মী আবুল হোসেন রাজু বলেন, কুয়াকাটা সৈকত আমাদের সকলের এবং এর রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্বও আমাদের। সৈকতকে সুন্দর রাখতে আমাদের সঙ্গে তারাও যে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহকারী গবেষক মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ২০২১ সাল থেকে কুয়াকাটায় ২৬ জন ব্লু গার্ড কাজ করে। ২০২৩ সালে প্রায় ২০০০ কেজি এবং ২০২৪ সালে প্রায় ১৭০০ কেজি অপচশীল দ্রব্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে পরিষ্কার করা হয়। যার মধ্যে ছেড়া জাল, পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল অন্যতম। এছাড়াও সাগরের উপকারী ও বিলুপ্ত প্রায় কচ্ছপ, ডলফিন জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাদেরকে ছেড়ে দেয় এবং মৃত কচ্ছপ ও ডলফিন পাওয়া গেলে তাদেরকে কবরস্তের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করে ইকোফিশ -২।

এছাড়াও ইকোফিশ-২ প্রকল্প সামুদ্রিক পরিবেশে বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং উপকূলীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী চিন্তা-চেতনার পরিবর্তনে উৎসাহিত করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর