গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ৩ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে টানা ৩২ ঘণ্টা ধরে স্থবির ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। এতে সড়কটিতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সড়কটি বন্ধ থাকায় শিল্পনগরী গাজীপুরের বেশিরভাগ কারখানাগুলোতে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের জেরে গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজে অ্যাপারেলস্ লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন দাবি জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একই সময়ে মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় এসএমএস ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। এসময় তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। ফলে যানজটে আটকে দীর্ঘ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এ পথে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রীরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিকল্প সড়ক পথ ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা বললেও কোন সুরাহা করতে পারেনি। প্রতিবারই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া এলাকা ঘুরে দেখে যায়, মহাসড়কের দুপাশে ১২ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের জটলা বেঁধে আছে। এর ফলে বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহনের মালামাল নষ্ট হচ্ছে বলে জানান পরিবহন চালকেরা।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান জানান, আন্দোলনের শুরু থেকেই গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ, শিল্পপুলিশ ও যৌথবাহিনী মিলে সড়ক অবরোধ করে রাখা শ্রমিকদের সরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তা ছাড়তে রাজি নয়।