প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় পড়তে গিয়েছিল মোহাম্মদ সামিদ। কিন্তু ছুটি হলেও সে ঘরে ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুঁটে যান মাদ্রাসায়। সেখানেও পাওয়া যায়নি সামিদকে। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের এক পুকুরে পাওয়া যায় তার নিথর দেহ। ছয় বছরের শিশুটির মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মোহাম্মদ সামিদ দৈনিক আজাদীর চট্টগ্রাম অফিসের জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক নজরুল ইসলামের সন্তান। এই সাংবাদিকের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সামিদের মামা মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সামিদ স্থানীয় দারুল হিকমা মাদ্রাসায় পড়তো। রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মাদ্রাসার ছুটি হলে সে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে মাদ্রাসায় খুঁজতে যান। ছুটির পর মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে বাড়ির পাশে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়ার যায়।পুকুর থেকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মোহাম্মদ সামিদের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে। সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম এক বিবৃতিতে শিশু সামিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।