খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব ট্যারিফ কমিশনের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আসন্ন রমজানে দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেজুর আমদানিতে শুল্ক ও কর কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বার্তা২৪-এর হাতে আসা এক নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয়, আসন্ন রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কর ও শুল্কায়ন যৌক্তিক করতে আশাজু নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দুবাই, সৌদি আরব, মিশর ও আলজেরিয়া থেকে খেজুর আমদানি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে; কিন্তু খেজুর আমদানিতে উচ্চহারে শুল্ক কর ও অযৌক্তিক শুল্কায়ন থাকায় এখনো খেজুর আমদানি করতে পারেনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় খেজুরের চাহিদা, আমদানির পরিমাণ, আমদানি শুল্কহার, কেজি প্রতি শুল্কায়ন, স্থানীয় বাজার মূল্য এবং খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।

বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে খেজুরের চাহিদা প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন এবং এর ভেতর শুধু রমজান মাসেই খেজুরের চাহিদা প্রায় ৬০-৭০ হাজার মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খেজুর আমদানির পরিমাণ যথাক্রমে ৮৬ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন ও ৮০ হাজার ৯১০ মেট্রিক টন। যার আমদানি গড় মূল্য (শুল্ককর ব্যতীত) যথাক্রমে ৩৩৬ টাকা ও ৪৯৭ টাকা প্রতি কেজি।

অপরদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-অক্টোবর) খেজুর আমদানির পরিমাণ ২৮৯ মেট্রিক টন, যার গড় আমদানি মূল্য (শুল্ককর ব্যতীত) ৪৩৩ টাকা প্রতি কেজি। সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ধারাবাহিকভাবে খেজুর আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

দেশে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিশর, জর্ডান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকে অধিকাংশ খেজুর আমদানি করা হয়। বর্তমানে সকল প্রকার খেজুর আমদানিতে কাস্টম ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ১০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩ শতাংশ ও আগাম কর (এটি) ৫ শতাংশসহ মোট ৬৩.৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত আছে যা বাস্তবতার নিরিখে যৌক্তিক নয়। এতে একদিকে ব্যবসায়ের আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে আমদানিকৃত খেজুরের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এ পরিস্থিতিতে রমজানে খেজুরের মূল্য স্থিতিশীলকরণের নিমিত্ত খেজুর আমদানিতে গত বছরের মতো বিদ্যমান সিডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ ও সমুদয় আগাম কর ৫ শতাংশ অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে। যা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এছাড়া খেজুর আমদানির উপর প্রযোজ্য মোড়কজাত পণ্য আমদানিতে আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা ও ইটিআইএন, বিআইএন লিপিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলেও জানিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।