দেশীয় জাত সংরক্ষণে বিএলআরআই’কে ভূমিকা রাখতে হবে: ফরিদা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-11-14 16:00:15

দেশীয় জাত সংরক্ষণে বিএলআরআই-কে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমাদের দেশীয় অনেক জাতই এখন বিলুপ্তপ্রায়। এসব জাত যাতে পুরোপুরি বিলুপ্ত না হয়ে যায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। জাতীয়ভাবে অনেক সময় কোনো বিষয়ের গুরুত্ব বোঝা যায় না, এলাকাভিত্তিক গবেষণার ক্ষেত্রে সেটি সহজেই বোঝা যায়। তাই এলাকাভিত্তিক গবেষণার বিকল্প নেই।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সাভারের দেশের একমাত্র প্রাণিসম্পদ গবেষণার জাতীয় প্রতিষ্ঠান-বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর বিজ্ঞানী-কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেছেন, বিএলআরআই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষের কিছু পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। উৎপাদক পর্যায়ে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে খামারিদেরকে সেবা বা সেবামূলক তথ্য দিতে হবে। উৎপাদন খরচ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে করলে আমাদেরকে বাইরে থেকে মাংস বা ডিম আমদানি করতে হবেনা। তবেই আমরা প্রকৃতপক্ষেই খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো।

গ্রামীণ নারী খামারিদের প্রসংশা করে তিনি আরও বলেছেন, ‘গ্রামীণ নারীরা প্রাণীর চরিত্র বোঝেন। কোন প্রাণীর আচরণ কেমন, কোন গরু কেমন দুধ দেয়, কোন গরুর দুধের স্বাদ কেমন, কোন মুরগি কেমন ডিম দেয় সেসবই তারা জানেন।’ এসময় তিনি বিএলআরআই এর নারী বিজ্ঞানীদের সংখ্যায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন প্রাণিসম্পদ গবেষণায় নারী বিজ্ঞানীদেরও ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শাহীনা ফেরদৌসী, এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিএলআরআই এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান/দফতর প্রধান, প্রকল্প পরিচালকসহ সব পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

এর আগে, সকালে উপদেষ্টা বিএলআরআই এ পৌঁছে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন। মতবিনিময় শেষে উপদেষ্টা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন গবেষণাগার ও খামার পরিদর্শন করেন। উপদেষ্টার পরির্দশনের মধ্যে ছিল ট্রান্সবাউন্ডারি এ্যানিমেল ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের ভ্যাকসিন এন্ড বায়োলজিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি, দেশি মুরগির খামার, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার, মহিষ খামার, বিএলআরআই ফডার জার্মপ্লাজম ব্যাংক এবং রেড চিটাগাং ক্যাটেল (আরসিসি) গরুর গবেষণা খামার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেছেন, ‘উপদেষ্টা হিসেবে আমরা শপথ নিয়েছি দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য।’ দেশে অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিপ্লবের মাধ্যমে এসেছে এবং আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এতে শহীদদের অবদান আছে। 'জুলাই-আগস্ট’ বিপ্লবে আহতদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। কারণ আহতদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের ত্যাগের কারণেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর