সেচের চাহিদা পূরণে ফাঁকা জায়গা কিংবা বিল্ডিংয়ের ছাদে নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবীর খান।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে নীলফামারীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তরের বোর্ড সভাকক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উত্তরাঞ্চলের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফাওজুল কবীর খান বলেন, আমরা বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করি। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করার। এছাড়াও এখন যেসব প্রকল্প হবে সেসব প্রকল্পের ফাঁকা জায়গায় বা ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা যায় তাহলে সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বাড়তি বিদ্যুৎ সেচ বা অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
রংপুর বিভাগের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ২০০ মেগাওয়াটের নবায়নযোগ্য শক্তির প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন। তাহলে দেখবেন যে কারো ওপরে নির্ভর করতে হবে না।
কুইক রেন্টাল সম্পর্কে তিনি আরও জানান, এটা ২০১০ সালের আইন। দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের আইন ছিল এটি। এই আইনকে দিয়েই এসব জিনিস জায়েজ করা হয়েছে। এই আইনটা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আদালত প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ জ্বালানি কেনা থেকে বাতিল এবং আদালতে যাওয়া যাবে না এই দুই ধারা বাতিল করেছে।
রেলের জমি অবৈধ দখলে যাওয়া নিয়ে উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবীর খান বলেন, সারাদেশে রেলের জমি যে অবৈধ দখল আছে এটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। যদি এখানে না হয়ে থাকে তাহলে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার, রেলওয়ের পশ্চিম বিভাগের মহাপরিচালক মামুনুল ইসলামসহ উত্তরঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন কর্মকর্তারা।