ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা জুরাইন রেলগেট এলাকা থেকে সরে গেছেন। এতে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তারা রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা রেলপথ থেকে সরে দাঁড়ান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, সকাল ১১টার দিকে তারা রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ এসে তাদেরকে বুঝিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে বললে তাদের সঙ্গে রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এরপর পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে রেললাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর রেল চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গতকাল প্রথম দিন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশা চালকরা। এতে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতের ওই নির্দেশনার পর পরের দিন বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রিকশাচালকরা ওইদিন কয়েক ঘণ্টা রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে আন্দোলন করেন। তাতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।