ভোরে শিশিরে ভেজা সবুজ ঘাস ও সন্ধ্যার পর হিমভাব জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে পুরোদমে শীত না পড়তেই রংবেরঙের বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। উন্মুক্ত আকাশের নিচে ভাসমান দোকান দিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় তারা। গতবারের তুলনায় শীতের পোশাকের দাম বাড়ায় পুঁজি পুষিয়ে বাড়তি আয় নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
রংপুর নগরীর পুরনো শীত পোশাকের বাজার আলমনগর, স্টেশন, সুরভী উদ্যান ও কাচারিবাজার সংলগ্ন ফুটপাত, সালেক মার্কেট, জালাল মার্কেটের
প্রতিটি দোকানে থরে থরে সাজানো হয়েছে শীতের পোশাক। শীত থেকে রক্ষা পেতে দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে রংবেরঙের সোয়েটার, কোট, জ্যাকেট, ব্লেজার, মাফলার, চাদরসহ শিশুদের বিভিন্ন পোশাক। পোশাকভেদে দামেও রয়েছে পার্থক্য।
আলমনগর কেজি মার্কেটর ব্যবসায়ী তৈয়ব হোসেন বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে ব্যবসা করি। তখন পোশাকের গাইডের দাম ছিল ১০০০-১২০০ টাকা। আর এখন ১৫০০০ -২৪০০০ টাকা। একেকটা সোয়েটার বিক্রি করতে হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা, কোট ৪০০-৫০০ টাকা।
সাশ্রয়ীমূল্যে পুরনো শীত পোশাক কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ক্রেতারা। তবে বাড়তি দাম নিয়ে অভিযোগ তাদের। হারাগাছ থেকে পোশাক কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, আমাদের নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্য নাই। তাই এখানে বাচ্চার জনা কাপড় কিনতে আসছি।
অগ্রহায়ণের ১২ দিন কেটে গেলেও পুরোদমে শীত না পড়ায় বাজারজুড়ে ক্রেতা শূন্যতার চিত্রই চোখে পড়েছে। পসরা সাজিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।