অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেওয়া সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা না হলে সেন্টমার্টিনে কোন জাহাজ ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে সেন্টমার্টিন বাজারে আয়োজিত সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার ও রাত্রিযাপন অনুমতির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আয়োজকদের একজন নুর কামাল আজাদ বক্তব্যে বলেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপদেষ্টা নিয়েছে সেটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের মতো পর্যটক যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। এছাড়া টেকনাফ থেকে চালু করা হোক জাহাজ। আমাদের সেন্টমার্টিনের মানুষ নাহয় মারা যাবে। সেন্টমার্টিনে দেওয়া বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া না হলে কোন জাহাজ সেন্টমার্টিনে আসতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশে জাবেদ ইকবাল নামের আরেকজন বলেন, ২ হাজার পর্যটক দিয়ে কিছুই হবে না। পর্যটন কোরাল ক্ষয় করে না। পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিনে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি পর্যটনকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা পর্যটক না আসলে জীবনধারণ কঠিন হয়ে যাবে। সেন্টমার্টিনে ২ হাজার পর্যটক আসার সিদ্ধান্ত হলে আমরা একটা পর্যটকও ঢুকতে দিব না। ৮/৯ ঘন্টা জার্নি করে আসলে আবার ফেরত যেতে হবে কক্সবাজার।
সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারমধ্যে ২ হাজার পর্যটক যেতে পারবে দ্বীপে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী ৪ মাস পর্যটক যেতে পারবে। কিন্তু নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারিতে রাত্রিযাপন করতে পারবে না। তবে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে রাত্রিযাপন করতে পারবে।
এসব নিষেধাজ্ঞা এবং বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা এবং সেন্টমার্টিনে ব্যবসা করা পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে পর্যটক নিয়ে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা। তবে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের এমন ঘোষণার কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে সেন্টমার্টিনে যাত্রা।