চট্টগ্রাম বন্দরে গৃহস্থলি জিনিসপত্র ঘোষণা দিয়ে থাইল্যান্ড থেকে আনা একটি কন্টেইনার খুলে তাতে লেমার ব্র্যান্ডের ৭৪০ কার্টন সিগারেট পেয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য দেড় কোটি, এর বিপরীতে রাজস্বে পরিমাণ ৯ কোটি।
রোববার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কায়িক পরীক্ষার সময় কন্টেইনারটিতে এসব সিগারেট পাওয়া যায়।
পাবনার ঈশ্বরদী পাকশী ইপিজেড খায়াতি লেদার ইনোভেশন বিডি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান পণ্যের চালানটি আমদানি করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’র মাধ্যমে কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স শাখা রপ্তানিকারকের ওয়েবসাইট, উৎস দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসায়ের ধরন ও ঠিকানা পণ্যের বর্ণনা প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে পণ্য চালানটিতে অসত্য ঘোষণায় পণ্য থাকার প্রাথমিক ধারণা পায়। পরে পণ্য চালানটি ফোর্স কিপ ডাউন করে আজ (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বন্দরের অভ্যন্তরে কায়িক পরীক্ষা চালানো হয়। কায়িক পরীক্ষায় কন্টেইনারের ভেতরে থাকা ৭৪০টি কার্টন খুলে তাতে লেমার ব্র্যান্ডের ৭৪ হাজার শালাকা বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আটক সিগারেটের আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য দেড় কোটি টাকা। এই চালানটি খালাসের মাধ্যমে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৯ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছিল। এআইআর শাখার তৎপরতায় এই রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।