ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বিলোনিয়া সীমান্তে এসে বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফেনীতে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের ব্যানারে আয়োজিত মিছিলটি শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে খেজুর চত্বর, বড় মসজিদ রোড প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘ত্রিপুরা না ফেনী, ফেনী-ফেনী’, ‘ভারতের দাদাগিরি, থুথু মারি থুথু মারি’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার দেশের অপমান, সইবে না রে জনগণ’, ‘হাইকমিশনে হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাক’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’ এমন নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের আগরতলায় যা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তাদের একটি গোষ্ঠী বিলোনিয়া সীমান্তে নো-ম্যানসল্যান্ডে ঢুকে বাংলাদেশের দিকে মাইক তাক করে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য ও উগ্র স্লোগান দিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ড দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার ঘোষণা দেন তারা।
স্বেচ্ছাসেবক মো. রায়হান বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে বিব্রত করতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সম্প্রতি তারা পরশুরামের বিলোনিয়া সীমান্তে এসে উগ্র বক্তব্য দিয়েছেন। এসবের প্রতিবাদে আমাদের এ আয়োজন।
তিনি বলেন , দেশের স্বার্থে হিন্দু-মুসলমান সবাই এক। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা এক হয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত। এসময় স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের সদস্য এসবি প্রিয়, রুবেল তারেক ও আব্দুল হান্নানসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।