বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, দেশের প্রায় ১,৫০০টি পর্যটন স্পটের উন্নয়নে কাজ করা হবে। পাশাপাশি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে কক্সবাজারকে একটি স্বপ্নের পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত সমুদ্র সৈকত ও শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক বিশেষ ক্যাম্পেইনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ট্যুরিজম বাস্তবিক পক্ষে মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের একটি প্লাটফর্ম।
পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং জেলা প্রশাসন উদ্যোগে আট দিনব্যাপী আয়োজিত এই ক্যাম্পেইনের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাসরীন জাহান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়ামিন হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, ছাত্র সমন্বয়ক সাহিদুল ওয়াহিদ সাহেদ, রবিউল হোসেন প্রমুখ।
এসময় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবকদের পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
পৌরসভা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ইউএন ভলেন্টিয়ার্স বাংলাদেশ এবং ইয়াসিড এর সহযোগিতায় এই ক্যাম্পেইনে বি়ভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও বীচ কর্মী অংশ নেয়। সভার শুরুতে ২০২৪ জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।