সুনামগঞ্জে বিজিবির বিশেষ অভিযানে লং রেঞ্জ শুটিং রাইফেলসহ ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান বিজিবি’র সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
আটককৃতরা হলো- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. রাজু আহম্মেদ (২১), মো. আলতু মিয়ার ছেলে মো. জালাল মিয়া (২৩), নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৫)।
বিজিবি জানায়, সিভিল সোর্সের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর আওতাধীন সীমান্ত হতে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাহিরপুর উপজেলার ১নং উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া নামক স্থানে মেসার্স শামীম ট্রেডার্স এর কয়লা ও পাথর ডিপোর অব্যবহৃত অফিসে বিজিবি কর্তৃক বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে টি লং রেঞ্জ শ্যুটিং রাইফেলসহ ৩ জন আসামিকে আটক করে বিজিবি। অভিযানে তাহিরপুর থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যগণ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আটককৃত আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া গ্রামের মো: আবুল কাশেমের ছেলে মো. নাজমুল হোসেন (২৭) গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) অস্ত্রটি অফিস ঘরে আটককৃত ৩ জনের নিকট রেখে যায় এবং অস্ত্রটি উক্ত এলাকার জনগণকে ভয়-ভীতি দেখানো ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার হতো।
তারা আরও জানান, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র অনুসন্ধানে জানা যায়, অস্ত্রটি দূরপাল্লার শ্যুটিং রাইফেল। পাশাপাশি পলাতক আসামি মো. নাজমুল হোসেনকে গ্রেফতারে বিজিবি কতৃর্ক জোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিজিবি’র সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে কোনো অবৈধ পণ্য, মাদক কিংবা অস্ত্র দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য টহল জোরদার ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চোরাকারবারিদের কঠোর হস্তে দমন করতে বিজিবি বদ্ধপরিকর। এছাড়াও সীমান্তে যেকোনো ধরনের অস্থিরতা দমনে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
এসময় ২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক) মেজর গাজী মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।