বরগুনার বেতাগীতে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেড়ে ভাতিজা ওহিদুজ্জামানের দায়ের কোপে প্রতিবন্ধি চাচা সুলতান হাওলাদার নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের সোনার বাংলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই পালানোর সময় ওহিদুজ্জামানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
নিহত সুলতান হাওলাদার ঐ এলাকার মৃত. দাদান মুসুল্লী হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত ওহিদুজ্জামান সুলতান হাওলাদারের বড় ভাই আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে। নিহত সুলতান হাওলাদারের দুই পুত্র ও দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চাচা ভাতিজার দুই পরিবারের মধ্যে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো। ঘটনার দিন শুক্রবার বিকেলে ওয়াহিদুজ্জামান সাথে বাড়ি উঠানের জমিতে মিষ্টি আলুর লতা কাটা নিয়ে প্রতিবন্ধী চাচা সুলতান হাওলাদারের কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওহিদুজ্জামানের হাতে থাকা দা দিয়ে তিনি তার চাচা সুলতান হাওলাদারকে এলোপাতারি কোপায়। এতে সুলতান হাওলাদার মারাত্মকভাবে আহত হয়। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওইদিন রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতান হাওলাদারের মৃত্যু হয়। পরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট জন্য তাঁর লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠান।
নিহত সুলতান হাওলাদারের পুত্র মো. জালাল বলেন, আমার চাচাতো ভাই ওহিদুজ্জামান শুক্রবার বিকেলে কোন কারণ ছাড়াই আমার বাবাকে দা দিয়ে কোপায়। পালানোর সময় পার্শবর্তী এলাকা থেকে স্থানীয় লোকেরা তাকে আটক করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতে বাবার মৃত্যু হয়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একজন প্রতিবন্ধীকে এভাবে হত্যা করায় আমরা হতভম্ব। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুক হোসেন বলেন, অভিযুক্ত ওহিদুজ্জামানকে আমরা গ্রেফতার করেছি। থানায় মামলা হওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।