পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছৈলাবুনিয়া গ্রামে আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সত্যরঞ্জন পাটনী এ অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁদের আইনজীবী মো. বাদশা আলম।
সত্যরঞ্জন পাটনী জানান, তাঁদের ৪ একর ৮৪.৫ শতাংশ জমি নিয়ে ২০২১ সালে সহকারী জজ আদালতে বণ্টন মামলা হয়। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায়ে তাঁরা তাঁদের সম্পত্তির অধিকার লাভ করেন। এর বিরুদ্ধে করা আপিল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত নামঞ্জুর করে। আদালতের নির্দেশে জমির মাপজোখ করে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়।
তবে অভিযুক্ত মো. আ. রব হাওলাদার এবং মফেজ উদ্দিন সিকদাররা আদালতের রায় অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল করেন। ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, জমি থেকে ধান কেটে নেওয়া হয়েছে এবং হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। থানায় ও সেনা ক্যাম্পে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি।
অন্যদিকে অভিযুক্তরা দাবি করেন, তাঁরা ওই জমি সত্যরঞ্জন পাটনীর পরিবারের নারীদের কাছ থেকে কিনেছেন। যদিও হিন্দু আইন অনুযায়ী নারীরা বাবার সম্পত্তিতে অধিকার পান না।
সত্যরঞ্জন পাটনীর আইনজীবী বলেন, "আদালতের রায়ের পর জমিতে পিলার বসানো হলেও বিবাদীরা স্থানীয় শক্তি প্রদর্শন করে জমি দখল করে রেখেছে। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।"