চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছুরিকাঘাতে দুই কিশোর নিহতের ঘটনা রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং একটি পক্ষ হত্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেস বিফিংয়ে এমন দাবি করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবুল কালাম সাহিদ।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুরে ছুরিকাঘাতে মারা যান একই উপজেলার খোলসী গ্রামের এজাবুল হকের ছেলে মাসুদ রানা ও চাঁদপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে রায়হান আলী। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নিহতদের ছাত্রলীগের নেতা দাবি করে রাতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে দাবি করা হয়, জয় বাংলা স্লোগান লেখার কারণে হত্যা করা হয়েছে তাদের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকগুলো ফটো কার্ড ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আবুল কালাম সাহিদ দাবি করেন, মল্লিকপুরের আব্দুস সালাম ও শাহীন আলীর মধ্যে পেয়ারা বাগান নিয়ে বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জের ধরেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মারা গেছেন মাসুদ ও রায়হান। এর আগে মল্লিকপুর জিয়া সাংষ্কৃতিক পরিষদের বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠান দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
আবুল কালাম সাহিদ বলেন, নিহতদের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি জয়বাংলা লেখার জন্য তাদের হত্যা করা হয়েছে এমন তথ্যও পায়নি পুলিশ। এ নিয়ে যারা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকাতেও তদন্ত অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।